Health

যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি

আমরা জানি যে যোগব্যায়াম শতাব্দী বছর ধরে মানুষ এই যোগ ব্যায়ামের সাথে পরিচিত। এবং যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি প্রাচীনকাল থেকেই পাওয়া যায়। যোগব্যায়াম খুবই পুরাতন একটি ব্যায়াম। যা আমাদের সবার কাছে পরিচিত। ভারতবর্ষে প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ যোগব্যায়ামের অনুসরণ করে। এবং যোগ ব্যায়ামের বিভিন্ন আসন চর্চা করে থাকে। অতএব আমাদের উচিত যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি ভালোভাবে জেনে এরপর যোগ ব্যায়াম অনুশীলণ করা যোগব্যায়াম খুবই উপকারী একটি ব্যায়াম।

যোগব্যায়াম সম্পর্কে আমাদের ভালোভাবে জানা থাকলে ব্যায়ামের কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যায়।যেমন যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি এবং যোগ ব্যায়ামের উপকারিতা যোগব্যায়ামের সকল বিস্তারিত তথ্য জেনে এরপরই যোগ ব্যায়াম করা উচিত। যোগব্যায়াম আমাদের শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখে। এবং বিভিন্ন রোগের সাথে লড়াই করতে খুবই কার্যকরী ব্যায়াম। এছাড়াও ডাক্তারি শাস্ত্রে যোগব্যায়ামের বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এবং যোগব্যায়াম প্রাকৃতিক ওষুধ বলে ঘোষণা করেছে আজকাল আধুনিক যুগের চিকিৎসক এর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

যোগ ব্যায়ম কী?

আমাদের যোগ ব্যায়াম করার আগে জানা উচিত যোগব্যায়াম কি এবং যোগ ব্যায়ামের পদ্ধতি জানা থাকলে। খুব সহজেই যোগ ব্যায়াম অনুশীলণ করা যায়। আমরা জানি যে যোগ ব্যায়াম হল এমন এক অনুশীলনযার
মাধ্যমে আমাদের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের নড়াচড়া করে। এছাড়াও নিয়মিত যোগ ব্যায়াম আমাদের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

যোগব্যায়াম প্রাকৃতিক সুখ যার মাধ্যমে প্রাকৃতিক ভাবে সুস্থ এবং রোগমুক্ত সহজেই থাকা যায়।আত্মবিশ্বাস বাড়াতে যোগব্যায়াম খুবই উপকারী।এবং যোগব্যায়াম শারীরিকমানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এবং আমাদের মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে সুতরাং সঠিকভাবে যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি জানা থাকলে। বিভিন্নভাবে উপকার পাওয়া যায়।এছাড়াও যোগব্যায়াম সকল ধরনের রোগের উপকার করে উপকার করে।

যোগ ব্যায়ামের উপকারিতা

রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়

যোগব্যায়াম আপনাদের রক্তসঞ্চালন সঠিকভাবে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি জানা থাকলে নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করুন। আমরা জানি যে যোগ ব্যায়াম এর সাহায্যে আমাদের শরীরে অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সঠিকভাবে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। অতএব আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালনের মাত্রাও সঠিক থাকে। যার ফলে আমাদের শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করে। এবং আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

উচ্চ রক্তচাপ কমে

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে যোগব্যায়াম বিশেষ ভূমিকা পালন করে।সঠিকভাবে যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি অনুসারে যোগ ব্যায়াম করা হলে অবশ্যই উচ্চ রক্তচাপ কমবে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা আছে। তারা যদি নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করে তাহলে রক্ত সঞ্চালন এবং অক্সিজেন সঠিক মাত্রায় চলাচল করবে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে এবং আমাদের শরীর ঠান্ডা।

মনের শান্তি

আপনি কি জানেন যে যোগব্যায়াম শুধু আপনাদের শরীরের পেশীগুলিকেই মোটা এবং শক্তিশালী করে না বরং এর পাশাপাশি আপনাদের মন কে শান্ত রাখতে সাহায্য করে যোগব্যায়াম নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি অনুযায়ী ব্যায়াম করা হলে ব্যায়ামের সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় এছাড়াও চিকিৎসকরা বলেছেন যে যোগব্যায়াম শারীরিক এবং মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখে এবং মানুষকে চাপ কমাতে সাহায্য করে মানসিকভাবে সুস্থ সবল রাখে।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে

আমরা জানি যে যোগব্যায়ামের আমাদের শরীরের রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এবং যোগব্যায়াম আমাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় এবং আমাদের শরীরে খারাপ করে স্টল স
হজেই রাস করে সুতরাং যোগ ব্যায়ামের সঠিক পদ্ধতি অনুসারে নিয়মিত যোগ ব্যায়াম অনুসরণ করলে এধরনের সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যাবে।

যোগ ব্যায়াম করার নিয়ম

যে কোনো কিছুরই সময় রয়েছে তবে যোগব্যায়ামের ও বিশেষ কিছু নিয়ম এবং নির্দেশনা রয়েছে যা আমাদের সবারই জানা খুবই প্রয়োজন। যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি জানা থাকলে যোগব্যায়ামের কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যায়। এবং যোগব্যায়াম তারা বিভিন্ন রোগ নির্মূল করা সম্ভব।সুতরাং আজ আমরা জানবো যোগ ব্যায়াম করার নিয়ম এবং কখন যোগব্যায়াম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

চলুন জেনে নেওয়া যাক যোগ ব্যায়াম করার নির্দিষ্ট সময় কখন। যোগ ব্যায়ামের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় হল আমরা জানি যে সকালের যোগ ব্যায়াম করার জন্য খুবই উপযুক্ত একটি সময়।তবে যোগ ব্যায়াম। আপনি চাইলে যেকোন সময় করতে পারেন।এসময় যোগ ব্যায়াম করা হলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি জানা থাকলে যখন আপনার কাছে সময় থাকে দিনের যেকোনো সময় করতে পারেন।যোগব্যায়াম করার জন্য আপনাকে জিমে যেতে হবে না বাসায় বসেই এফএম করতে পারবেন খুবই সহজে এবং যোগ ব্যায়াম করার জন্য ব্যায়ামের কোন সরঞ্জাম যন্ত্রপাতি প্রয়োজন পড়বে না খালি হাতেই যোগ ব্যায়াম করা যাবে

আমাদের সবার একটা বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিৎ যে যখন আমরা যোগব্যায়াম অনুসরণ করব তখন আমাদের যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে একজন অভিজ্ঞ কাছে থেকে পরামর্শ নিয়ে এরপর যোগ ব্যায়াম শুরু করা উচিত। এরপরে আমাদের যোগ ব্যায়াম করার সময় পোশাকের দিকে ও বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে পোশাক আরামদায়ক এবং দিলে ডালা সুতির পোশাক বেছে নিতে হবে কারণ এ ধরনের পোশাক পড়ে যোগ ব্যায়াম করা হলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

এবং যোগ ব্যায়াম করার সময় আমাদের একটি বিষয় বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। যে কিছুক্ষণ সময় হলেও সব ধরনের চিন্তাভাবনা দূরে সরিয়ে রেখে মনোযোগ সহকারে যোগব্যায়াম অনুসরণ করতে হবে। এবং যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি সম্পর্কে ফলো করতে হবে। এরপর পদ্ধতি অনুযায়ী ব্যায়াম করতে হবে।যোগব্যায়াম খালি পেটে করতে হবে ভরা পেটে যোগ ব্যায়াম করা যাবে না এ বিষয়ে আমাদের বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে।

এবং যোগব্যায়াম করার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে এক ঘন্টা পরে।গোসল করে নিতে হবে। এতে শরীর সতেজ এবং ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে মন মেজাজ ভালো থাকবে।সুতরাং আমাদের উচিত যোগ ব্যায়াম করার পরে একটু বিশ্রাম নিয়ে এর পরে গোসল করে নিজেকে ফ্রেশ করে নেওয়া।এছাড়াও যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি থেকে জানা যায় যে যোগ ব্যায়াম করার সময় নিজের উপর কখনোই জোর করা যাবে না
এবং কষ্টদায়ক কোন ধরনের ব্যায়াম করা যাবে না যতটা শরীরের উপর সহ্য হয় ঠিক ততটাই করতে হবে।

আমরা জানি যে যোগব্যায়াম করার জন্য আমাদের বেশি জায়গার নেই। যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি অনুযায়ী যোগ ব্যায়াম করা হলে আমাদের যেমন জায়গার প্রয়োজন পড়বে যাতে করে আপনি শুধু সোজা হয়ে শুয়ে থাকতে পারবেন এবং ঠিক এরকম শুধু আপনি সোজা হয়ে শুয়ে থাকতে পারেন এরকম খানিকটা জায়গা নিয়ে যথেষ্ট।আমরা আমরা জানি যে যোগব্যায়ামের রয়েছে হাজারো উপকারিতা।যা আমাদের শরীরে অনেক উন্নতি করে।যোগ ব্যায়াম করার ফলে আমাদের শরীর একদম ফিট এবং অতিরিক্ত চর্বি সহজে জোরে যায়।

অতএব সুস্থতার দিকে বিবেচনা করা হলে যোগব্যায়াম সবার শীর্ষে অবদান রয়েছে। সুস্থতা বজায় রাখার জন্য নিয়মিত যোগ ব্যায়াম অনুসরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।আপনি জানেন যে নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি
অনুসারে যোগ ব্যায়াম করা হলে আপনার শরীরের লোহিত রক্তকণিকা এবং রক্তের শ্বেতকনিকা ভালো রাখতে সাহায্য করে।এছাড়াও আপনাদের শরীরে বিভিন্ন রক্তনালী মোটা করে যার ফলে সহজেইরক্ত চলাচল স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকে।

 

যোগব্যায়াম খুবই উপকারী ব্যায়াম এটা একদম অস্বীকার করার মত কিছুই নেই। যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি অনুযায়ী ব্যায়াম করা হলে ব্যায়ামের তো বিশেষ উপকারিতা রয়েছে।তবে কিছুদিন ধরে যোগ ব্যায়াম করা হলে তা মানিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়ে যাবে।যোগব্যায়াম আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।

আমাদের মধ্যে অনেকেরই ঘুমের সমস্যা টা রয়েছে কিন্তু তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা হল যে যোগ ব্যায়াম করার সঠিক পদ্ধতি অনুযায়ী যদি কেউ নিয়মিত যোগ ব্যায়ামের করে। এবং যোগব্যায়ামের কিছু আসনে অনুসরণ করে তাহলে সহজেই এ ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং গভীর ঘুম হবে যার ফলে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে তাই ঘুমের সমস্যা দূর করার জন্য করতে পারেন যোগব্যায়াম।

আমাদের জানি যে সুস্থ থাকার কথা যে কি বুঝায়।যে আমাদের শরীরে রোগ মুক্ত থাকা এবং সুস্থ থাকার মানে হল সুখে শান্তিতে থাকা।আর শরীরে কোন ধরনের রোগব্যাধি থাকলে মন মেজাজ ভালো থাকে না যার ফলে কোন কাজ ভালো লাগেনা। এবং শরীর খারাপ থাকলে সবকিছুই খারাপ লাগে সুতরাং আমাদের শরীর এবং মন ভালো রাখার জন্য নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি অনুযায়ী যোগ ব্যায়াম করা। সুতরাং সুস্থ থাকার জন্য আমাদের নিয়মিত সকালের যোগ ব্যায়াম করা উচিত।

 

সুতরাং আমাদের যদি বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে সকালে ব্যায়াম করা না হয় তবে আমাদের উচিত সন্ধার পরে যোগ ব্যায়াম অনুশীলণ করা। কারণ সন্ধ্যা সকালে ব্যায়াম এর মতই উপকারী ব্যায়াম যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি দিক থেকে জানা যায়।যোগব্যায়াম সন্ধায় অনুশীলন করা যায়। কারণ সন্ধ্যার আবহাওয়া ঠান্ডা এবং খুবই ভালো সময়। যোগ ব্যায়াম করার সময় আমাদের অলসতা করা যাবেনা। অলসতা দূর করে যোগ ব্যায়ামের প্রতি মনোযোগ বাড়াতে হবে। আর এই অলোষতা আমাদের ভবিষ্যৎ খারাপ করে দিবে শরীরে বাসা বাঁধছে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি।

অতএব যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি অনুযায়ী যোগ ব্যায়াম করা হলে। সারা জীবন সুস্থভাবে বাঁচা যায়। এবং বিভিন্ন রোগবালাই হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। যেমন ডায়াবেটিস ব্লাড প্রেসার কিডনির সমস্যা হৃদরোগসহ নানা ধরনের রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।এছাড়াও আমরা জানি যে ক্যান্সার খুবই ভয়ঙ্কর একটি রোগ এ রোগের হাত থেকে যোগব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং নিয়মিত যোগ ব্যায়াম অনুসরণ করা হলে এ ধরনের রোগের চান্স খুবই কম থাকে।

আমরা জানি যে সুস্থ থাকার আনন্দ কতটা কেবলমাত্র ওই ব্যক্তি উপলব্ধি করতে পারে যে ব্যক্তির সুস্থ সুস্থ থাকার কতটা আনন্দ সেই ভালো ভাবে খুলতে পারবে আর আমাদের সবারই উচিত যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি অনুযায়ী যোগ ব্যায়াম করা হলে আমরাও সুস্থভাবে বাঁচতে পারব। এছাড়াও যোগব্যায়াম আমাদের শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়াও যোগব্যায়াম আমাদের শরীরের যেকোনো ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। যেমন।বাতের ব্যথা হাঁটুর ব্যথা জোড়ায় ব্যথা মাংসপেশির ব্যথা।কোমরে ব্যথা মাথা ব্যথা সব ধরনের ব্যথা দূর করার জন্য যোগব্যায়াম বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

যোগব্যায়াম খুবই উপকারী ব্যায়াম তবে আমরা জানি যে যোগ ব্যায়াম করার সঠিক পদ্ধতি অনুযায়ী ব্যায়াম করা হলে এর ফলাফল ভাল হয়। এছাড়াও যোগ ব্যায়ামের উপকারিতা বলে শেষ করা সম্ভব নয়। যোগব্যায়ামের রয়েছে হাজারো উপকারিতা।আপনি দু মাসের মতো নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করেন।তাহলে যোগ ব্যায়ামের উপকারিতা আপনার চোখেই ধরা পড়বে।এবং নিজের শরীরের উন্নতি নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন। সুতরাং সকলের উচিত ব্যস্ততার মাঝেও কিছুটা সময় বের করে নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করা তাহলে অবশ্যই মানসিক চাপ কাজের চাপ এবং শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব।

নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে সৃষ্ট থাকতে পারব এবং সহজে কোন মেয়েও আমাদের দেহকে আক্রান্ত করতে পারবে না। আর রোগ মুক্ত থাকা কতটা আনন্দের বিষয় তা বলে বুঝানো যাবে না। রোগমুক্ত থাকা মানে সুস্থ থাকার আনন্দ উপলব্ধি করা সুতরাং যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি অনুযায়ী যোগ ব্যায়াম করুন।

যোগব্যায়ামের কিছু নিয়ম

যোগ ব্যায়াম করার আগে আমাদের কিছু নিয়ম জেনে নেওয়া উচিত। যেমন যোগব্যায়াম অনুসরণ করার কিছু নিয়ম।এবং যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি সম্পর্কেও জানা উচিত যোগব্যায়াম করার প্রত্যেকটি আসুন আমাদের 30 সেকেন্ড 1 মিনিট পর্যন্ত করা উচিত। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো যে যোগব্যায়ামের একটি আসন তিরিশ সেকেন্ড করে এরপর আমাদের শবাসন 30 সেকেন্ডের মত করতে হবে। এটা করা খুবই জরুরী। আর এইসব আসন কিভাবে করতে হয় তা আমরা সকলেই জানি।

তবে বিশেষ করে যোগ ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে যে ব্যক্তিরা নতুন তাদের যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি অর্থাৎ যোগ ব্যায়ামের আসন সম্পর্কে জানা উচিত। শবাসন করতে হবে যেভাবে চলুন জেনে নেই। যোগ ব্যায়াম করার পরে। আমাদের একেবারে সোজা হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। এবং আমাদের সমস্ত শরীর শিথিল করে। দু পা এক এক থেকে দেড় ফুট মতো ফাঁকা করে শুয়ে থাকতে হবে। এরপরে আমাদের বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে এ সময় খুবই স্বাভাবিক পর্যায়ে নিঃশ্বাস নিতে হবে। দ্রুত নিঃশ্বাস নেওয়া যাবে না।

এরপরে আমাদের শবাসন শেষ হলে পুনরায় আবার যোগ ব্যায়ামের পদ্ধতি অনুযায়ী নতুন করে। আসুন শুরু করতে হবে। যোগব্যায়ামের ক্ষেত্রে শবাসন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন। এ আসনটি করতেই হবে সুতরাং যে ব্যক্তি রাজযোগ ব্যায়াম করেন তারা অনেকেই জানেননা যোগ ব্যায়ামের আসন সম্পর্কে যোগ ব্যায়ামের আসন।রয়েছে হাজারো উপকারিতা সুতরাং যে কোন আসন করার পরে অবশ্য শবাসন করে নেওয়া খুবই জরুরী।

আপনি কি জানেন যে যোগ ব্যায়াম করার সঠিক পদ্ধতি অনুযায়ী যে ব্যক্তিরা যোগ ব্যায়াম করে।তারা অবশ্যই সুস্থ এবং রোগ মুক্ত থাকতে পারে।যোগ যোগ ব্যায়ামের আসন এর কারণে আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে। এবং আমাদের শরীরে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ পরিবর্তন করে।এবং আমাদের শরীরের উন্নতি ঘটাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। সেজন্য আমাদের উচিত শবাসন করে নেওয়া। আর শবাসন না করে নিলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

যোগ ব্যায়াম করার সময় যে কোনো ধরনের কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। এবং আমাদের যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি অনুযায়ী আসনগুলো করতে হবে। এবং নিয়মিত আসাম করার পাশাপাশি আমাদের পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবারের দিকেও বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। যেমন নিয়মিত যোগদান করা জরুরি তেমনি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি পুষ্টিকর খাবার আমাদের শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। এবং বিভিন্ন রোগ বালাই সাথে লড়াই করে আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং রোগ মুক্ত।

আপনি কি জানেন যে যোগ ব্যায়াম করার পর আপনার শরীরে ক্যালোরি ক্ষয় হয়। আর এই ক্যালরির ক্ষয় পূরণ করার জন্য সুষম খাবার এবং পুষ্টি গুণ ভালো মানের খাবার খাওয়া প্রয়োজন।যেমন যোগ ব্যায়াম করার সঠিক পদ্ধতি অনুযায়ী ব্যায়াম করা যেরকম গুরুত্বপূর্ণ তেমনি ব্যায়ামের পর সুষম খাবার খাওয়া একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এর সাথে নিয়মিত খাবার তালিকায় অবশ্যই ভিটামিন সি জাতীয় ফল শাকসবজি রাখার চেষ্টা করবেন।

খাবারে অরুচি দূর করে

যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি অনুযায়ী ভালোভাবে ব্যায়াম করা হলে খাবারের অরুচি সহজেই কেটে যায়। খাবারের রুচি বাড়ায় এবং যোগ ব্যায়ামের আসন এর ফলে আমাদের হজম শক্তি বাড়ে এবং পাকস্থলী সুস্থ রাখে সুতরাং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আলসার এবং পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর করার জন্য যোগাসন খুবই উপকারী।

যোগ ব্যায়ামের আসন আমাদের মানসিক চিন্তা এবং মাথা ব্যাথা মনকে হালকা করে ব্যায়ামের সঠিক পদ্ধতি অনুযায়ী যোগাসন করা হলে এর উপকারিতা অপরিসীম।মেজাজ ভালো রাখে এবং সারাদিন সতেজ থাকা যায়।
আমাদের মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর এই যোগব্যায়াম শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সেও করা যেতে পারে যোগব্যায়াম আপনি চাইলে যেকোন বয়স থেকেই শুরু করতে পারেন।

রোগ ব্যায়াম আসন

আমরা এখন যেনে নেব যোগব্যায়ামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আসন সম্পর্কে আর এ যোগ ব্যায়াম করার সঠিক পদ্ধতি। অনুযায়ী যদি যোগব্যায়ামের আসনগুলো নিয়মিত করা যায়। তাহলে অবশ্যই যোগাসনের আসনের উপকারিতা পাওয়া যাবে ।যেমন পদ্মাসন আসন ,ভুজঙ্গ, আসন,মুক্তপ্রনসন, শীর্ষাসন, শবাসন ,ইত্যাদি। নিয়মিত আসনগুলো চর্চা করুন।

আমরা জানি যে সর্ব দিক বিবেচনা করে দেখা যায় যখন হলো প্রাকৃতিক ওষুধ যোগব্যায়াম আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে শারীরিক এবং মানসিক উভয়ের জন্য এবং বিভিন্ন রোগের সাথে লড়াই করে যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি ভালোভাবে জেনে আমাদের সবার নিয়মিত যোগ ব্যায়ামের অভ্যাস করা উচিত যোগব্যায়ামের আসুন আমাদের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে।

30

Related Articles

Back to top button