আসলে বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহার এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি জরুরি এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তবে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেশিরভাগ মানুষই এ ব্যাপারে অসচেতন খুব অল্প সংখ্যক মানুষ আছে যারা এসব বিষয় বোঝে এবং সতর্ক থাকে।
এছাড়া যাদের এ বিষয়ে ধারণা কম তারা অনায়াসে না জেনে নানারকম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আর এটাই সুযোগ নিচ্ছে বিভিন্ন অ্যাপস বা ওয়েবসাইট।
এজন্য আপনার স্মার্টফোনের ব্যবহৃত কোন অ্যাপস ব্যবহারের পূর্বে সেটির নীতিমালা এবং অ্যাপসটি ব্যবহার এর জন্য কি কি পারমিশন বা অনুমতি তারা আপনার ফোন থেকে নিবে সে ব্যাপারে ভালোভাবে জেনে নেবেন।
এখন প্রশ্ন হতে পারে এটি আপনি জানবেন কি করে তবে টেনশন করার কিছু নেই ব্যাপারটি খুবই সিম্পল। বর্তমানে আমরা যারা স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন বা সহজ ভাবে বললে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন।
এক্ষেত্রে এটাতো স্বাভাবিক এন্ড্রয়েড ফোনের জন্য অ্যাপস ডাউনলোডের সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য প্লাটফর্ম হচ্ছে গুগল প্লে স্টোর। সাধারণত সকলে এখান থেকে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের অ্যাপস ডাউনলোড এবং ইন্সটল করে থাকে।
তবে আপনি যে কোন অ্যাপস ইনস্টল করার আগে সেটির অ্যাবাউট পেজটা ঘুরে দেখবেন এবং সেখান থেকে নীতিমালা উল্লেখ করা হয়েছে এবং অ্যাপসটি ব্যবহার এর জন্য আপনার ফোন থেকে কি অনুমতি নেয়া হবে সেই বিষয়গুলো চাইলেই দেখতে পারবেন।
উদাহরণ এর মাধ্যমে বলছে তাহলে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হবে। মনে করুন আপনি একটি গল্প বা কবিতার বা মজার কোন জোকস এর অ্যাপস ইন্সটল করলেন।
তাহলে অ্যাপসটির নীতিমালায় তেমন বিশেষ কিছু থাকার সম্ভাবনা নেই এবং আপনার ফোন থেকে কোন পারমিশন বিশেষ করে মিডিয়া, লোকেশন, কল হিস্টরি, মেসেজে ইত্যাদি ইত্যাদি এগুলোর পারমিশন যতই অ্যাপসটি চাই অথবা এই পারমিশন গুলো নেয়ার কথা যদি উল্লেখ থাকে তাহলে আপনি অনায়াসে বুঝে নিতে পারেবেন অ্যাপসটি আপনার নিরাপত্তা লঙ্ঘন করবে।
কারন একটি জোকস এর অ্যাপস অথবা একটি বই এর অ্যাপস এর কখনোই এই পারমিশন গুলো দরকার পড়ে না। হ্যাঁ বিশেষ কিছু অ্যাপসের ঠিকঠাক ভাবে কাজ করার জন্য পারমিশন নেওয়ার দরকার হয় তবে অপ্রয়োজনীয়’ বা থেকে কোন পারমিশন যদি কোন অ্যাপস নাই তাহলে বুঝতে হবে একটি নিরাপত্তা লংঘন করছে অথবা আপনার তথ্য চুরি করছে।
তখন আপনার উচিত হবে ওই অ্যাপসটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা কারণ এখানে আপনার নিরাপত্তা নেই সেখানে আপনি কোনোভাবেই নিরাপদ নয়।
আরো পড়ুন… অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া এবং স্মার্ট ফোন ব্যবহার করার ক্ষতিকর দিকসমূহ
স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সহযোগিতা নিরাপদ থাকতে হবে। আসল রং আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য আমাদের চোখের সামনে থেকে চুরি হয় অথচ আমরা অসচেতন থাকার কারণে এগুলো লক্ষ্য করি না হলে কোন একটা সমস্যার সম্মুখীন হবে তখন অবাক হয়ে যাই।
আসলে আমরা যদি সর্বদা সতর্ক থাকি তাহলে আমাদের কোন রকম সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে। অনলাইন এবং স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার নিজের নিরাপত্তা আপনার নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে। আপনার প্রাইভেসি যাতে আপনি অন্য কারো হাতে তুলে দেন বা তাকে পারমিশন দিয়ে দেন তাহলে আপনার নিরাপদ থাকার সম্ভাবনা একেবারে নেই বললেই চলে।