বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে এরা ফোন কিনতে চায় কম দামে উদাহরণ স্বরূপ 5000 টাকায় কিন্তু ফোনের কোয়ালিটি চায় 30 হাজার টাকা দামের ফোন এর সমতুল্য।
তবে স্বাভাবিক ভাবে এটা সকলেই বুঝতে পারে যে 5 হাজার টাকা বাজেট থাকলে এবং 5000 টাকা দিয়ে ফোন কিনলে 30000 টাকার ফোনের ফিচার কখনোই পাওয়া যাবে না।
তবে ফোন কেনার আগে আপনি যত কিছু বিষয় লক্ষ রাখেন তাহলে আপনার ফোনের বাজেট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব ফিচার গুলো পেতে পারেন।
যদিও এই বিষয়গুলো বর্তমানে ফোন ব্যবহারকারী বেশির ভাগ মানুষই জানে তবে অনেকেই এখন পর্যন্ত ফোন যাচাই করার বিষয়টি ভালোভাবে বুঝে না।
এজন্য অনেকেই ফোন কেনার পূর্বে নিজের বন্ধু-বান্ধব বা নিকটস্থ কারো সহযোগিতা নেয় তাদের সময় বের করে একটি ফোন কিনে দিতে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেন বা সহযোগিতা দরকার হয়।
কিন্তু যদি আপনি ফোন সম্পর্কে মোটামুটি না হলে হালকা একটু ধারনা নিয়ে নেন তাহলে কারো সাহায্য সহযোগিতা ছাড়াই নিজে নিজেই ফোন সিলেক্ট করা বা বাছাই করতে পারবেন।
উদাহরণস্বরূপ আপনার ফোন কেনার বাজেট যদি 15000 টাকা হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে 15000 টাকার আশেপাশে কি কি কনফিগারেশনের ফোন আছে সেটা ইন্টারনেট থেকে খুঁজে বের করতে হবে বা পরিচিত দোকান থাকলে সেখানে গিয়ে কথা বলতে পারেন তবে কোন এর কোয়ালিটিটা নিজেই বিবেচনা করবেন।
অন্য কেউ বলবে এটা ভালো ওটা থেকে এটা ভালো এটা সেটা আপনি কোন কথা শুনবেন না আপনি অবশ্যই নিজের পছন্দ অনুযায়ী বিবেচনা করবেন আপনার কোন ফোনটি ভালো লাগে এবং কোন কোন থেকে আপনার প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধাগুলো আপনি পাবেন।
যদি আপনার পছন্দের কোন ব্র্যান্ড থাকে যে আপনি শাওমি অথবা অপ্পো ফোন কিনবেন তাহলে আপনার পছন্দের ব্র্যান্ডের এর ভিতরে দেখতে হবে এবং তাদের ভিতর কম্পেয়ার করতে হবে।
আর যদি আপনার নির্দিষ্ট কোন ব্র্যান্ড এর ফোন কেনার শখ বা প্রয়োজন না থাকে তাহলে আপনি সহজেই আপনার বাজেটের ভিতর মানসম্মত কোন বাছাই করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ আপনার যদি শাওমি, ভিভো অথবা অপ্পো এরকম ভালো ব্রান্ডের যেকোনো একটি ব্র্যান্ডের কোন হলেই যথেষ্ট তাহলে আপনি বাজেট অনুযায়ী সব ব্রান্ডগুলোর ফোন এর কনফিগারেশন গুলো যাচাই-বাছাই করতে পারবেন।
এতে অনেক সময় দেখা যায় আপনি ভাবছেন শাওমি ব্রান্ডের ফোন কিনবেন অথচ অপ ব্রান্ডের আপনার বাজেটের মধ্যেই একটি ফোন অফারে রয়েছে যার মূল্য আপনার বাজেটের থেকে কিছুটা বেশি। এক্ষেত্রে আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে আপনি আপনার বাজেটের মূল্যে যেখন পেতেন তার থেকে ভালো কনফিগারেশনের ফোন পেয়ে যাবেন।
এখন আসে আপনার পছন্দের কথা আপনার কি প্রয়োজনে ফোন লাগবে সেটা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে আপনি যদি গেমস খেলেন তাহলে আপনার ফোনের প্রসেসর র্যাম এবং ব্যাটারির দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
কারণ আপনি যাতে কোনো ভারি অনলাইন স্ট্রিম গেম খেলেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই খানের প্রসেসর ব্যাটারি এবং র্যাম এর দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
আরো পড়ুন… শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখা উচিত
আবার যদি আপনার ফোন দিয়ে আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার ভিডিও দেখা বা সাধারণ ভাবে একজন নর্মাল ইউজার যেরকম ব্যবহার করে সেরকম প্লান থাকে তাহলে আপনি এগুলোর দিকে কম গুরুত্ব দিও কিনতে পারেন।
তবে অবশ্যই এটা মনে রাখবেন যে ফোনের ব্যাটারি প্রসেসর এবং র্যাম যত বেশি শক্তিশালী হবে ততো কোন ভাল পারফর্ম করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে প্রসেসরের কিন্তু কয়েকটি ধরন আছে বর্তমানে বাজারে অনেক ধরনের প্রসেসর রয়েছে সর্বদা চেষ্টা করবেন লেটেস্ট প্রসেসর গুলো যে ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী এরকম প্রসেসর যুক্ত ফোন কেনার।
তবে বাজেট অনুযায়ী একেক ধরণের ফোনে একেক রকম প্রসেসর ব্যবহার করা হয় তাই প্রসেসর টা কি ধরনের এবং কি মডেলের সেটা আপনি অবশ্যই ভালোভাবে গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।
এছাড়া যদি বলা হয় আপনার ফোনের ডিজাইন আপনার ফোনের কালার তাহলে সেটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ নয় কারণ আপনার কোন কালার এবং কোন মডেলের ফোন ভালো লাগবে সেটা আপনার মানসিক অবস্থা এবং আপনার চোখ বলতে পারে আপনি দোকানে থাকা অবস্থায়।
তাই ফোন হাতে ধরে দেখেশুনে ভালোভাবে বুঝে কিনবেন যে সেটির লুক আপনার পছন্দ কিনা তবে এটা নিয়ে টেনশনের কিছু নেই কারণ বর্তমানে মার্কেটে লেটেস্ট প্রায় সকল ফোন ই পছন্দ হওয়ার মতো।