সম্প্রীতি ই-কমার্স এর জন্য নতুন নীতিমালা প্রণয়ন হয় এতে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে তবে এগুলো তুলে ধরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই আইন প্রণয়ন করা ই-কমার্স ক্রেতাদের জন্য সুবিধাজনক নীতিমালা।
ই-কমার্সের এই নতুন নীতিমালায় প্রথমেই থাকছে পণ্য সাত দিনের ভিতরে ডেলিভারির কথা এবং ক্রেতাদের বা গ্রাহকদের হাতে পৌঁছে দেয়ার আইন।
গ্রাহক পণ্য অর্ডার এর সাত দিনের ভিতরে তার কাঙ্খিত পণ্যটি হাতে না পেলে আইনের আশ্রয় নিতে পারবে এবং জরিমানাসহ পণ্য আদায় করার ক্ষমতা রাখে।
সহজভাবে বলছি যদি কোন গ্রাহক কোন একটি ই-কমার্স সাইট থেকে একটি পছন্দের প্রোডাক্ট অর্ডার করে সেটি যদি ই-কমার্স কর্তৃপক্ষ অর্ডার করার সাত দিন এর ভিতরে গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দিতে না পারে তাহলে ই-কমার্স কোম্পানিকে জরিমানা করা হবে এবং পণ্যের দাম ফেরত দিতে হবে।
এটি আসলে ই-কমার্স গ্রাহকদের মনে বিশ্বস্ত তা এবং সাহস দুটি বাড়িয়ে দিয়েছে কারণ বাংলাদেশের ই-কমার্স সাইট গুলো এমন যায় কোন গ্রাহক একটি পণ্য অর্ডার করলে সেটি তার কাছে পৌঁছাতে কয়েক সপ্তাহ মাসের চেয়েও বেশি সময় লেগে যায় যায় এক প্রকার বিরক্তিকর সমস্যা বলা যায়।
এতে গ্রাহক ই কমার্স থেকে পণ্য অর্ডার করার ক্ষেত্রে শতবার ভাবে কারণ তার পণ্যটি পৌঁছাতে অনেকটা সময় লাগবে যেটা কারো কাছে ভালো লাগে না। তবে বর্তমানে এই নীতিমালা আশায় গ্রাহকদের এই সমস্যার অনায়াসেই সমাধান মিলেছে।
অন্যদিকে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা হচ্ছে ই কমার্স থেকে গ্রাহক যাতে কোনো একটি পণ্য অর্ডার করে এবং অর্ডার পৌঁছে দেয়ার পরে গ্রাহক যদি মনে করে বা গ্রাহককে যদি একটি পণ্য দেখিয়ে অন্য একটি পণ্য দেয়া হয় তাহলে সে মামলা করতে পারবে এবং আইন অনুযায়ী একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
গ্রাহক চাইলে সরাসরি কমার্স কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক মামলা দিতে পারবে। অনেকে কমার্স কোম্পানি আছে যারা পণ্য অর্ডার করার পরে ঠিক সময়ে ডেলিভারি তো দূরের কথা ডেলিভারি কখনোই করে না সোজা কথা বললে প্রতারণা করে তাদের প্রতারণা কমাতে সাত দিনের এই নিয়ম ই-কমার্সের প্রতি গ্রাহকদের বিশ্বস্থতা বাড়িয়ে দিত এবং প্রতারণার হার কমাতে সাহায্য করবে।
পাশাপাশি দ্বিতীয় নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে সেটিও সুবিধাজনক কারণ অনেকে কমার্স কোম্পানি রয়েছে যারা গ্রাহকের হাতে অর্ডার করা পণ্য তো ঠিকই পৌঁছে দেয় তবে একটি পণ্য অর্ডার করলে অন্য একটি পণ্য ডেলিভারি করে বা খুবই লো কোয়ালিটির বাজে একটি প্রোডাক্ট ধরিয়ে দেয় যেখানে ফটোতে ভালো কোয়ালিটির অন্য প্রোডাক্ট করানো হয়েছিল।
এই ধরনের প্রতারণা শিকার হওয়ার হার এখন থেকে কমে যাবে কারণ এরকম প্রতারণা যদি কোন ইকোমার্স কোম্পানি করে তাহলে গ্রাহক ই-কমার্স কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক মামলা দিতে পারবে যেটা খুবই একটা ভালো নীতিমালা বা আইন বলা যায়।
আরো পড়ুন… আপনার ফোনে ব্যবহৃত অ্যাপস গুলো কি আপনার তথ্য নিচ্ছে
দেশে সরকার অনুমোদিত অল্প কয়েকটি ই-কমার্স কোম্পানি রয়েছে এছাড়া আমাদের দেশে অনেক ই-কমার্স কোম্পানি রয়েছে যা ফেসবুক মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং এই সকল নীতিমালা দেশের প্রায় 2000 এরকম ই কমার্স সাইট রয়েছে একটি সকলের জন্য প্রযোজ্য হবে।
সরকারের এই উদ্যোগ বা নতুন ই-কমার্স এর উপরে এই নীতিমালা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং ই-কমার্স গ্রাহকদের পণ্য ক্রয় করতে অনেকটা সাহস এবং বিশ্বাস জোগাতে সাহায্য করবে।
পূর্বে এরকম মিটিং হল না থাকার কারণে বাংলাদেশের অগণিত মানুষ প্রতারণার শিকার হয়েছে এবং ই কমার্স থেকে প্রোডাক্ট কেনার হলে নানা রকম হয়রানির শিকার হয়েছে।
এখন থেকে এই ধরনের হয়রানি এবং সমস্যাগুলো থেকে মুক্তির পথ খুলে দিয়েছেন ই-কমার্স এর উপরে প্রণয়ন করা এই নতুন নীতিমালা গুলো।
