এবার বেলুনে চড়ে যাওয়া যাবে মহাকাশে উদ্দেশ্যে

মহাকাশ ভ্রমণের ইচ্ছে রয়েছে অনেকের মনেই। মহাকাশ সম্পর্কে নানা অজানা তথ্য যেমন: মহাকাশ থেকে সূর্যকে লাল কিংবা হলুদ নয় সাদা দেখায় আবার মহাকাশে নাকি একটি বড় জলধারা রয়েছে যেটিতে কিনা ১ কোটি ৪০ লক্ষ কোটি গুণ বেশি জল আছে। 

এবার বেলুনে চড়ে যাওয়া যাবে মহাকাশে উদ্দেশ্যে

মহাকাশে আরশোলার প্রজনন ঘটিয়েছিলেন রাশিয়ার একদল বিজ্ঞানী। এখান থেকে ৩৩ টি আরশোলা জন্ম নেয় এবং এই আরশোলা গুলো পৃথিবীর আরশোলা হতে অনেক শক্তিশালী ।  প্রতিবছর চাঁদ ১.৫ ইঞ্চি করে দূরে সরে যাচ্ছে পৃথিবী হতে। এরকম রহস্যময় সব অজানাকে জানতে মহাকাশে যেতে চায় অনেকেই।

 মহাকাশ বেলুনে চড়ে যাওয়া এই আশ্চর্য কল্পনাকে এবার বাস্তবে রূপ দিতে চাচ্ছে একটি বেসরকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠান। সংস্থাটির নাম হল ‘স্পেস পারস্পেকটিভ’। এক্ষেত্রে বেলুনে চড়ে মহাকাশে যেতে পারবে ভ্রমণকারীরা। সিএনএন এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী। ‘স্পেসশিপ নেপচুন’ নামের একটি উন্নত ধরনের বেলুন তৈরি করা হয়েছে।

এই বেলুনটির সাহায্যেই অসাধ্যকে সাধন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্পেস পারস্পেকটিভ’ সংস্থাটি।
এই স্পেসশিপ নেপচুনকে ২০২১ সালের শুরুর দিকেই মহাকাশে পাঠাবে এই মার্কিন সংস্থাটি জানা গিয়েছিল। এই স্পেসশিপ নেপচুনকে আলাস্কার প্যাসিফিক স্পেসপোর্ট কমপ্লেক্স হতে মহাকাশের উদ্দেশ্যে পাঠানো হবে। ইভনিং স্টান্ডার্ডের দেয়া তথ্য অনুযায়ী।

আরো জানা যায় বেলুনটি হবে যে কোনো বাণিজ্যিক বিমানের থেকে ও বেশি শক্তিশালী । যা কিনা বাণিজ্যিক বিমানের থেকেও তিনগুণ বেশি ওপরে মানুষকে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় এক লক্ষ ফুট উপরের স্থানটা কি রকম সে বিষয়ে জানতে পারবেন এই বেলুনটিতে সফরকারী যাত্রীরা।

আরো পড়ুন… ল্যাপটপ কেনার পূর্বে কোন বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত

এই বেলুনটিতে একসাথে আট জন করে ভ্রমণকারী সফর করতে পারবেন। বিরাটি এই বেলুনটি এক ঘন্টায় ১২ মাইল বেগে ধীরগতিতে উড়ে যেতে থাকবে মহাশূন্যের কাছে। প্রায় ৬ ঘন্টা এই রোমাঞ্চকর ভ্রমনটি উপভোগ করতে পারবে ভ্রমণকারীরা।আটলান্টিক মহাসাগরের ঠিক উপরেই থাকবে এই স্পেসশিপ নেপচুন নামের বেলুনটি।

সেখানে কোনো দুর্ঘটনা এড়াতে ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তার জন্য একটি জাহাজ রাখা হবে। বেলুনটিতে অনেক সুযোগ সুবিধা থাকবে। একটি বার ও রেস্টরুমে ব্যবস্থা ও করা হয়েছে সেখানে ।স্পেস পারস্পেকটিভ এই ব্যবস্থাটি করেছে।
এখন নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করবে, এই বেলুনটিতে চড়তে কি রকম খরচ পড়বে? এখন পর্যন্ত সফরের টিকিটের দাম নির্ধারণ করেননি সংস্থাটি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে প্রত্যেকটি টিকিটের মূল্য হবে ১,২৫,০০০ ডলার ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৯৩ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।

Leave a Comment