দেশের চার মুঠোফোন অপারেটরদের রিপোর্ট এবার বিটিআরসির জরিপে দেখা গেল

বর্তমানে চতুর্থ প্রজন্মের টেলিকম সেবায় অর্থাৎ ফোরজি ইন্টারনেট সেবা দেশের চার মোবাইল অপারেটর গ্রাহকদের সঠিকভাবে সেবা দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি।

দেশের চার মুঠোফোন অপারেটরদের ফাঁকিবাজি এবার বিটিআরসির জরিপে দেখা গেল

 

নীতিমালা অনুযায়ী গ্রাহকদের সঠিক গতিতে নেটওয়ার্ক সেবা দিচ্ছে না কোন নতুন কোম্পানি কিন্তু গ্রাহকদের সেবা দেয়ার জন্য টাকা খরচ করতে হচ্ছে অথচ সে অনুযায়ী সেবা পাচ্ছে না বাংলাদেশের কোন গ্রাহকরাই।

গত 23 জানুয়ারি থেকে চালানো বিটিআরসির একটি জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেছেন গত 24 মার্চ যে রিপোর্টে অনেক ভিন্ন কিছু দেখা গেছে।

এই জরিপে দেখা গেছে দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় গ্রাহকরা সঠিক গতিতেই ফোরজি সেবা পাচ্ছে না বরং তিন থেকে ছয় এমবিপিএস গতিসম্পন্ন নেটওয়ার্ক পাচ্ছে গ্রাহকরা।

এত সুন্নিতি মেলা অনুযায়ী এবং বিটিআরসির মান অনুযায়ী মোবাইল অপারেটরগুলোর ফোরজি সেবা প্রদানের গ্রাহকদের সর্বনিম্ন ইন্টারনেটের গতি হতে হবে 7 এমবিপিএস কিন্তু সর্বনিম্ন গতি থেকে অনেক কম গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে দেশের চার মুঠোফোন অপারেটররা।

এই জরিপে প্রত্যেকটি মুঠোফোন কোম্পানি ইন্টারনেটের গতি পরীক্ষা করা হয়েছে এতে গ্রামীণফোন এবং রবি অপারেটরের ইন্টারনেট এর সর্বোচ্চ গতি ছিল 5 দশমিক 72 এমবিপিএস যা ন্যূনতম গতি থেকেও কম।

 

বাংলা নিউ মুঠোফোন অপারেটরের ইন্টারনেট এর গতি ছিল প্রতি সেকেন্ডে 4.94 এমবিপিএস রবি এবং গ্রামীণ মুঠোফোন কোম্পানির থেকেও কম গতিসম্পন্ন সেবা।

অন্যদিকে দেশের সরকারি বা রাষ্ট্রীয় মুঠোফোন অপারেটর টেলিটকের ইন্টারনেট এর গতি ছিল 2.82 এমবিপিএস যা দেশের সকল মোবাইল অপারেটর গুলো ইন্টারনেটের গতির থেকে অনেক কম এবং বিটিআরসির মান অনুযায়ী ইন্টারনেটের গতির থেকেও অনেকটাই কম।

আরো পড়ুন…  টেলিটক সিমের নাম্বার দেখার কোড

তবে দুঃখের বিষয় হল ডাউনলোড স্পিড এর থেকে দেশের মুঠোফোন অপারেটর গুলো পিছিয়ে থাকলেও ফোরজি আপলোড স্পিড এর গতিতে এগিয়ে আছে সকল মুঠোফোন অপারেটর গুলো।

বিটিআরসির মান দা নীতিমালা অনুযায়ী দেশের সকল নতুন কোম্পানি গুলোর আপলোড স্পিড থাকতে হবে সর্বনিম্ন 1mbps তবে সব মুঠোফোন অপারেটর গুলো এর থেকে অনেক বেশি আপলোড স্পিড দিয়ে থাকে। গ্রামীণফোন অপারেটররা 10mbps এবং বাংলালিংক অপারেটররা 12 দশমিক 69 mp3 আপলোড স্পিড প্রদান করে।

অন্যদিকে বাংলালিংক মুঠোফোন অপারেটর 10 দশমিক 72 এবং টেলিটক অপারেটররা 4.52 এমবিপিএস গতিতে আপলোড স্পিড দিয়ে থাকে যা বিটিআরসির নীতিমালা অনুযায়ী ন্যূনতম স্পিড চেয়ে অনেক বেশি।

 

আপলোড স্পিড এর দিক থেকে দেশের সকল মুঠোফোন অপারেটররা এগিয়ে থাকার মতই থ্রিজি সেবা প্রদানে ভালো সেবা দিচ্ছে দেশের বেসরকারি তিন মুঠোফোন অপারেটরা।

বিটিআরসি নীতিমালা অনুযায়ী দেশের মুঠোফোন কোম্পানিগুলোর সর্বনিম্ন থ্রিজি ইন্টারনেটের গতি থাকতে হবে ২ এমবিপিএস। তবে এক্ষেত্রে গ্রামীণফোন অপারেটরের ইন্টারনেট এর স্টুডেন্ট ছিল 3.96 এমবিপিএস গান বিটিআরসি মান অনুযায়ী ন্যূনতম স্পিডের চেয়ে একটু বেশি আছে।

আরো পড়ুন… দেশের সব রবির টাওয়ার এখন ৪জি প্রযুক্তির

রবি মুঠোফোন অপারেটরদের 4 এমবিপিএস এর থেকে কিছুটা বেশি গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে এবং বাংলালিংক 3.99 এমবিপিএস গতির সম্পূর্ণ ফ্রিতে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করেন যা অন্যান্য মোবাইল অপারেটর গুলোর ইন্টারনেটের গতি এর চেয়ে কম।

তবে রাষ্ট্রীয় অপারেটর টেলিটক সবার থেকে পিছিয়ে রয়েছে টেলিটক মোবাইল অপারেটর প্রতি সেকেন্ডে ইন্টারনেটে স্পিড দিয়ে থাকেন 1.74 এমবিপিএস যা বিটিআরসির নীতিমালা অনুযায়ী ন্যূনতম স্পিড এর চেয়েও কম।

এছাড়াও বিটিআরসির নীতিমালা অনুযায়ী কলরব এর হার দুই শতাংশের মধ্যে রাখার কথা বলা হয়েছে যা দেশের সকল মোবাইল অপারেটর লিলি মোটামুটি ঠিকঠাক ভাবে সেবা দিতে পারছে।

 

দেশের তিনটি বেসরকারি মুঠোফোন অপারেটরদের শূন্য দশমিক 50% এর চেয়েও নীচে রাখার চেষ্টা করেছে কল ড্রপের হয় তবে টেলিটক অপারেটররা 1 দশমিক 31 শতাংশ অন্যান্য মোবাইল অপারেটর এর চেয়ে অনেক বেশি শতাংশ কলরবের হার্ড রয়েছে।

Leave a Comment