আবার ও ফেসবুক তথ্য লঙ্ঘন করায় শিরোনামে হিট হয়েছে এবং এটি প্রায় ৫৩৩ মিলিয়ন ব্যবহারকারীকে প্রভাবিত করে। ডেটা ফাঁসের বিষয়টি জানুয়ারী ২০২১ সালে সাইবার গোয়েন্দা সংস্থা হডসন রকের সিটিও অ্যালন গাল জানিয়েছিলেন। সেই সময়, গাল হাইলাইট করেছিলেন, যে কীভাবে একটি টেলিগ্রাম বট বিনা মূল্যে ফোন নম্বর বিক্রয় করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
উন্মুক্ত তথ্যে ১০৬ টি দেশের ৫৩৩ মিলিয়ন ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহারকারীদের উপর ৩২ মিলিয়ন রেকর্ড, যুক্তরাজ্যের ব্যবহারকারীদের ১১ মিলিয়ন এবং ভারতে ব্যবহারকারীদের ৬ মিলিয়ন রেকর্ড রয়েছে।এর মধ্যে বাংলাদেশের ও প্রায় ৩৮ লক্ষের ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য রয়েছে। এটিতে তাদের ফেসবুক আইডি, ফোন নম্বর, পূর্ণ নাম, অবস্থান, জন্ম তারিখ, বয়স এবং কিছু ক্ষেত্রে ইমেল ঠিকানা ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই ওয়েবসাইট থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা জেণে নিতে পারবেন তাদের ইমেইল ঠিকানা এবং মোবাইল ফোন নাম্বারও ফাঁস হয়েছে কিনা।
স্বাভাবিকভাবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, তথ্য ফাঁসের ঘটনাটি বেশ অনেক দিনের আগে এবং এটি ঘটেছে ২০১৯ সালে। ফেসবুক বলছে, দেড় বছর আগেই নিরাপত্তার ফাঁগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে এটা নিয়ে বিভিন্ন দেশের সরকার এখন অনুসন্ধান চালাচ্ছে। জনসাধারণের মধ্যে ফেসবুকের ডেটা প্রকাশিত হওয়ায় আশা করা যায় এটি সাইবার ক্রাইমের জন্য ব্যবহার করা অনেক সহজ হয়ে যাবে ।
HaveIBeenPwned-এর একজন ব্যবস্থাপক ট্রয় হান্ট বলছেন, সবার সব তথ্যই যে ফাঁস হয়ে গেছে এমন কোন কিছু না। কিন্তু ৫০ কোটির মতো ব্যবহারকারীর ফোন নাম্বার ফাঁস হয়ে গেছে। ” খুব সামান্য কিছু লোকের ইমেইল ঠিকানাও চুরি হয়ে গিয়েছে” বলে তিনি তার ওয়েবসাইটের একটি ব্লগে জানিয়ে দিয়েছেন।
ফেসবুকের ব্যবহারকারীর যে তথ্য ফাঁস হয়েছে এমন খবর প্রকাশ হওয়ার পর তার ওয়েবসাইটের অতিরিক্তি ট্রাফিক হয়ে যাওয়ার পটভূমিতে মি. হান্ট সাইটে ফোন নাম্বার নামে একটি সার্চ ফাংশনটি সংযুক্ত করেন।
এর পূর্বে মানুষ এই সাইটটি ব্যবহার করতেন তাদের ইমেইল আইডি হ্যাক হয়েছে কিনা তা জানতে। আর এখন এই সাইটে প্রবেশ করলেই সহজেই ইউজাররা জানতে পারবেন তাদের ফোন নাম্বার ফাঁস হয়েছে কিনা। এক খবরে জানা যাচ্ছে যে, ফেসবুকের ডেটাবেজ থেকে যাদের যাদের ইনফমেশন ফাঁস হয়ে গিয়েছে তার মধ্যে এর প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গের মোবাইল ফোন নাম্বারও রয়েছে।
আরো পড়ুন… কৃষকের সমস্যা সমাধানে চালু হলো ‘ফুড ফর ন্যাশন’ প্ল্যাটফর্ম
জাকারবার্গের ফোন নাম্বারের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে টুইট করেন ইন্টারনেট সিকিউরিটি বিশ্লেষক ডেভ ওয়াকার মি.।নিরাপত্তার বিষয়ক যুক্তি দেখিয়ে ফেসবুক ২০১১ সালে থেকেই তার ব্যবহারকারীদের ফোন নাম্বার ডেটাবেজে সংযুক্ত করতে বলেছে। এর মাধ্যমে তারা ‘টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’- নামে এর ব্যবস্থা চালু করেছে।
কিন্তু সর্ব সম্প্রতি তথ্য ফাঁসের ঘটনা সম্পর্কে ফেসবুক খুব একটা মুখ খুলছে না। তারা শুধু এটুকুই বলে দিয়েছে যে ২০১৯ সালের আগস্ট মাসেই সমস্যাটির সমাধান করা হয়েছে। ব্ল্যাকবেরির গ্লোবাল এসভিপি অ্যাডাম এন্টারকিন মন্তব্য করেছিলেন, “ব্যক্তিগত তথ্যের দাম আরোহণের সাথে সাথে যে কোনও আকারের লঙ্ঘন হতে পারে -“চুরি হওয়া ডেটার জন্য সংস্থাগুলির সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতা রয়েছে।”