সরকার চলতি বছর 2021 সালের ভিতর সারা দেশে 5g ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রচেষ্টা করছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার জানান যে চলতি বছরের ভিতর দেশের সকল প্রান্তে ফাইভ-জি ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা হবে এবং দেশের দুর্গম অঞ্চল সহ চরাঞ্চলগুলোতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার কাজ চলছে।
হাওর সহ দেশে অনেক অঞ্চল রয়েছে সেখানে এখন পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা পৌঁছায়নি বা থাকলেও যথেষ্ট সুবিধাজনক নয় তাই দেশের প্রতিটি মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহার সহজলভ্য করতে এবং সবাইকে উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে সরকারের এই উদ্যোগ।
যদিও ফাইভ সি ইন্টারনেট সেবা খুবই ব্যয়বহুল একটি প্রজেক্ট তাই একটু সময় তো লাগবে এটাই স্বাভাবিক তবে সরকার চেষ্টা করছে যত দ্রুত সম্ভব দেশের সকল মানুষের কাছে ফাইভ-জি উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা তো রয়েছে তবে সেটা খুবই খারাপ অবস্থায় থ্রিজি অথবা ফোরজি থাকলেও তার স্পিড ঔ এতটাই কম ইন্টারনেট ব্যবহার করা একরকম বিরক্তিকর এবং কাজের অনেক ক্ষতিকর পরিস্থিতি তৈরি করছে।
বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ অনলাইনে কাজ করবে বিশেষ করে তাদের জন্য এটি খুবই একটি ক্ষতিকর ধিক তাদের কাজ গুলো সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে না পারাটা অনেকটাই সমস্যা জনক।
এক্ষেত্রে দেশের সকল প্রান্তে ফাইভ-জি উচ্চগতিসম্পন্ন নেটওয়ার্ক পৌঁছে গেলে অনলাইনে কাজ করা ব্যক্তিদের সুবিধা হবে পাশাপাশি বিভিন্ন অফিস বা প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরিচালিত অথবা বেশিরভাগ কার্যক্রম ইন্টারনেট ব্যবহার করে সম্পন্ন করা হয় সেগুলো আগের থেকে দ্রুত এবং সহজে কাজ সম্পন্ন করতে পারবে।
তবে এর আগে সবাইকে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে এমনকি বর্তমানে দেশের অনেক অঞ্চলে ভালো ইন্টারনেট সেবা না থাকার কারণে মানুষ অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
আর ইন্টারনেট সেবা খারাপ থাকলে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কোন অদ্ভুত বা অবাক করা বিষয় নয় কারণ বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে বেশিরভাগ কাজই অনলাইন নির্ভরশীল হয়েছে তাই ইন্টারনেট এবং দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা কমবেশি সকলেই জানেন।
বর্তমানে দেশের মুঠোফোন অপারেটররা দেশের সকল টাওয়ার গুলোতে ফোরজি ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করেছে কয়েকটি কোম্পানি বিশেষ করে গ্রামীণ ফোন এবং রবি অপারেটররা অলরেডি এটি সম্পূর্ণ করেছে।
যদিও কিছুদিন আগেই বিটিআরসি একটি রিপোর্টে দেখা গেছে ফোরজি ইন্টারনেট এর সর্বনিম্ন গতি এর চেয়েও কম গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সরবরাহ করছে মোবাইল অপারেটররা।
এবং একটি পরীক্ষামূলক ভাবে ছিল ঢাকার কিছু এলাকাতে এবং দেশের আরও বিভিন্ন প্রান্তে তবে বিটিআরসি’র এই রিপোর্ট অনুযায়ী ফোরজি নেটওয়ার্ক সেবা খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে দেশের সকল মোবাইল অপারেটরগুলোর। তবে ডাউনলোড স্পিড অনেক স্লো থাকলেও আপলোড স্পিড সর্বনিম্ন যেটা থাকা দরকার তার থেকেও বেশি রয়েছে।
অপরদিকে থ্রিজি নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে ন্যূনতম স্পিরিট যেটা বিটিআরসি নির্ধারণ করেছে তার আশেপাশে রয়েছে এবং থ্রিজি আপলোড স্পিড এর ক্ষেত্রে বিটিআরসির নীতিমালা অনুযায়ী ন্যূনতম স্পিরিট এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার থেকেও অনেক বেশি রয়েছে।
তাই থ্রিজি নেটওয়ার্ক নিয়ে তেমন কোনো অভিযোগ নেই বললেই চলে তবে থ্রিজি ইন্টারনেট বর্তমানে পিছনের প্রজন্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ তৃতীয় প্রজন্মের ইন্টারনেট দ্বারা এই পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট এর যাবতীয় কার্যক্রম করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরো পড়ুন… উইন্ডোজ আমরা ফ্রিতে ব্যবহার করি তবুও বিল গেটস কিভাবে ধনী
অন্যদিকে ফোরজি ইন্টারনেট এর গতি খুবই দুঃখজনক যদিও অলরেডি দেশের সকল মোবাইল অপারেটরের একটি সমাধানের জন্য এবং আরও দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সরবরাহের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
সরকার আশ্বাস দিয়েছে চলতি বছরের ভিতর গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সকলের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য পাশাপাশি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দেশের দুর্গম এলাকা সহ সকল প্রান্তে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই বছর পুরোটা সময় জুড়ে কাজ চললেও আমরা আগামী বছর থেকে ভালো ইন্টারনেট সেবা পাওয়ার আশাবাদী।
তবে এর বিকল্প কোন পদ্ধতি নেই কারণ এখারাপ।েক ব্যয়বহুল প্রজেক্ট এবং সময়সাপেক্ষ তাই আমাদের সময় দিয়ে ধৈর্য ধারণ করে অপেক্ষা করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো উপায় নেই যদিও ইন্টারনেটের অবস্থা বর্তমানে কিছুটা খারাপ