স্মার্টফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ নিয়ে অনেকের মাঝেই দুশ্চিন্তা রয়েছে তবে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সচেতন থাকলেই তুলনামূলক ব্যাটারি ব্যাকআপ পেতে পারে।
শুরুর দিকে স্মার্টফোনগুলোর ব্যাটারি তেমন একটা শক্তিশালী ছিল না তখন মানুষের স্মার্টফোন ব্যবহারে সবচেয়ে প্রধান সমস্যা হিসেবে ব্যাটারি ব্যাকআপ থাকত তবে যুগের পরিবর্তনে এখন স্মার্টফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশি দেয়ার জন্য স্মার্টফোন কোম্পানি গুলো শক্তিশালী ব্যাটারি তৈরি করেছে এবং বর্তমানে বেশি ব্যাকআপ সম্পূর্ণ ব্যাটারি ব্যবহার করা হচ্ছে।
কিন্তু আসল সমস্যা হচ্ছে এখন ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশি থাকা সত্ত্বেও তুলনামূলক সেবা পাচ্ছেন না অনেকেই কারণ তাদের কিছু নিয়ম নীতি এবং ভুলের কারণে ব্যাটারি ব্যাকআপ সঠিকভাবে পেতে সমস্যা হচ্ছে।
এজন্য অবশ্যই ব্যবহারকারীকে সতর্ক থাকতে হবে বিশেষ করে ফোনের অপ্রয়োজনীয়’ অ্যাপস গেমস আনইন্সটল এবং ফোনের মেমোরি ইন্টার্নাল স্তরেজ থেকে ডিলিট করতে হবে।
কারণ জেগুলো ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না অপরের জন্য সেই প্রোগ্রাম এবং অ্যাপস গুলো রাখলে ফোনের ব্যাটারি তে এবং প্রসেসরের উপরে চাপ পড়ে ফলে দ্রুত চার্জ শেষ হয়ে যায়।
এছাড়া অনেকেই ফোনের ডিসপ্লের আলো অতিরিক্ত বাড়িয়ে গিয়ে রাখে যা ফোনের দ্রুত চার্জ শেষ করার জন্য দায়ী। এছাড়াও অতিরিক্ত আলো চোখের জন্য এবং মুখের স্কিনের জন্য ক্ষতিকর তা আশা করি আপনারা জানেন।
এজন্য ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ পূর্বের তুলনায় বেশি পেতে অবশ্যই ডিসপ্লে লাইট যতটা সম্ভব কমিয়ে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
এছাড়াও ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ কখনোই ফুল রাখবেন না যতটা সম্ভব কম ডাটা রাখবেন এবং অপ্রয়োজনীয় সমস্ত ফাইল ডিলিট করে ফেলবেন সম্ভব হলে আলাদা মেমোরি কার্ড ব্যবহার করবেন একটি ফোনের ব্যাটারির ওপরে কম চাপ পড়বে।
এছাড়াও নেটওয়ার্ক সিগন্যাল যেখানে কম অর্থাৎ যেখানে লো নেটওয়ার্ক একদমই নেটওয়ার্ক নেই সেখানে বসে ফোনে কথা বলা বা ইন্টারনেট ব্যবহার থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকুন।
সম্ভব হলে ফোনের ফ্লাইট মোড অন করে রাখবেন এতে ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আপনার স্বাস্থ্যের ঝুঁকি কমে যাবে।
এছাড়াও ফোনে চার্জিং করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ফোনের ওরজিনিয়াল অর্থাৎ কোম্পানি থেকে দেয়া চার্জারটি দিয়ে ফোনের চার্জ করার চেষ্টা করবেন অন্যথায় third-party কোন চার্জার দিয়ে ফোনে চার্জ করলে ফোনের ব্যাটারি এবং ফোনের বিভিন্ন যন্ত্রের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যদি আপনার অরিজিনাল চার্জার টি হারিয়ে যায় বা কোনোভাবে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে বাজার থেকে অবশ্যই ওই ভোল্টেজ অর্থাৎ ঐরকম সেইম কনফিগারেশনের চার্জার কেনার চেষ্টা করবেন অথবা কোম্পানি থেকে এই মডেলের অন্য কোন চার্জার জোগাড় করার চেষ্টা করবেন।
অবশ্যই ফোনে ব্যাটারি লো এর সিগনাল দেয়ার আগেই ফোন চার্জে লাগানোর চেষ্টা করবেন এবং তার সম্পূর্ণ ফুল হয়ে যাওয়ার পরে চার্জার থেকে ফোন আলাদা করে ফেলবেন। অনেকেই ফোনে ফুল চার্জ হওয়ার আগেই ফোন ব্যবহার করে এবং কিছুক্ষণ পরপর চার্জে লাগায় একটা ফোনের ব্যাটারির মারাত্মক ক্ষতি হয়।
আরো পড়ুন… চলতি বছরের মধ্যেই দেশে ফাইভ জি ইন্টারনেট সেবা প্রদানের আহ্বান
এছাড়াও অনেকে ফোনের ব্যাটারিতে চার্জ ফুল হয়ে যাওয়ার পরেও সারারাত অথবা ঘন্টার পর ঘন্টা চার্জে লাগিয়ে থাকে যা ফোনের জন্য ক্ষতিকর এবং ব্যাটারির জন্য তাই ফোন চার্জ দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করবেন অন্যথায় আপনি সঠিক ভাবে ব্যাটারি ব্যাকআপ নাও পেতে পারেন।
ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর জন্য ইউটিউবে বা বিভিন্ন প্লাটফর্মে অনেকেই বিভিন্ন নির্দেশনা দেয় সব নির্দেশনা গুলো সঠিক নয় বিশেষ করে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়িয়ে দেয়া সহ বিভিন্ন ধরনের কলা কৌশল যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অকার্যকর।
অনেক ক্ষেত্রে দেখানো হয় যে ব্যাটারি ব্যাকআপ এর জন্য অ্যাপস ব্যবহার করলে ওই অ্যাপসগুলো এখন আর ব্যাকগ্রাউন্ডে চালিত অন্যান্য প্রোগ্রামগুলোকে বন্ধ রাখে বা ফোনের ব্যাটারি ক্ষয় করে এমন ধরনের সমস্ত কিছু বন্ধ রেখে ব্যাটারি ব্যাকআপ সংরক্ষণ করে তবে এটি আসলে ফোনের সেটিং থেকেও করা যায় এতে আলাদা থাকবে টি অ্যাপস ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই।