হাভিট এমএক্স ৭০১ব্লুটুথ স্পিকারটি থাকবে লাল রঙের একটি বক্সের মধ্যে। আনবক্সিং করলে দেখা যাবে সেই লাল বক্সে থাকা হাভিট এমএক্স ৭০১ব্লুটুথ স্পিকারটি। বক্সের ভেতর থাকছে স্পিকারটির পাশাপাশি একটি ইউএসবি ক্যাবল , একটি অডিও কেবল। ইউএসবি ক্যাবলটি দিয়ে স্পিকারটি চার্জ দেয়া যাবে।
আর অডিও ক্যাবলটি ৩.৫ মিলিমিটারের। স্পিকারটির বডি প্লাস্টিকের তৈরি এবং সেই সাথে রয়েছে ম্যাট ফিনিশ। এই ম্যাট ফিনিশের ফলে স্পিকারটি দেখতে লাগে অসম্ভব সুন্দর এবং এটিকে কোন সমতল সার্ফেসে রাখলেও সহজে নড়াচড়া করে না। জিনিসটি ধরতেও খুব সহজ এবং আরামদায়ক।
এবার কথা বলা যাক স্পিকার টির ফিচার এবং পারফরম্যান্স নিয়ে। এর সাউন্ড সিস্টেমটি ক্লাউড এন্ড ক্লিয়ার।এর সাউন্ড সিস্টেমে ডুয়াল স্পিকারের একটি দিয়ে শুধু বেস বের হয় ও অপরটি দিয়ে মেইন সাউন্ড বের হয়।
সেই সাথে এই ব্লুটুথ স্পিকারটিতে রয়েছে একটি টেম্পারেচার সেন্সর। এই টেম্পারেচার সেন্সর দিয়ে ব্যবহারকারী তার ঘরের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। এটি প্রতিনিয়তই আপডেট হয়। এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে অসম্ভব রকমের সুন্দর একটি ডিজিটাল ঘড়ি। এই ঘড়িটির এলার্ম সিস্টেম এ ব্যবহারকারী চাইলেই দুটি এলার্ম একসাথে দিতে পারবে। আমরা অনেকে এলার্ম দেই ঠিকই কিন্তু ঠিক সময় মত ঘুম থেকে উঠতে পারিনা। কিন্তু এই ঘড়িটির এলার্ম সাউন্ড এতই লাউড যে এর ফলে এলার্ম মিস হওয়ার চান্স খুবই কম। স্পিকারটি তে থাকছে মেমোরি কার্ড ব্যবহার করার সুবিধা। ব্যবহারকারীর ইচ্ছে করলে মেমোরি কার্ড লাগিয়ে গান শুনতে পারবে। যেহেতু এটি একটি ব্লুটুথ স্পিকার তাই খুব সহজেই ফোনের সঙ্গে সংযুক্ত করে গান শোনা যাবে। সেইসাথে এটিতে থাকছে রেডিও শোনার সুবিধা। সাধারণত ফোনে রেডিও শুনতে হলে আমাদের ইয়ারফোনের দরকার পড়ে। কিন্তু এই ব্লুটুথ স্পিকারটিতে তা লাগছে না। স্পিকারটির সাহায্যে ডিরেক্টই শোনা যাবে। বাংলাদেশে অনেক রেডিও চ্যানেল রয়েছে যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার অবসর সময় অতিবাহিত করতে পারবে।
ফোনে কথা বলার ক্ষেত্রেও রয়েছে এখানে সুবিধা। কারণ স্পিকারটি তে থাকছে ডেডিকেটেড মাইক্রোফোন। এই মাইক্রোফোনটি ফোনের সাথে কানেক্ট করে ব্যবহারকারী কথা বলতে পারবে।
আরো পড়ুন… এবার চাঁদে পা রাখতে যাচ্ছে কোন নারী
স্পিকারটির একদম উপরে রয়েছে ৬টি বাটন। এদেরকে বলা হয় স্পোর্টস এন্ড বাটন। ৬টি বাটনের প্রথম বাটন টি হল ঘড়ির ডিসপ্লের ব্রাইটনেস এবং তাপমাত্রা দেখার জন্য। পরের বাটনটি এলার্ম দেয়া ও সময় ঠিক করার জন্য। তারপরে রয়েছে একটি মোড বাটন। এই বাটনটি উপরে (M)এম লেখা থাকবে। এটির সাহায্যে মেমোরি কার্ড থেকে রেডিও , রেডিও থেকে ব্লুটুথ ইত্যাদি মোড চেঞ্জ করা যাবে। এরপরের বাটনটি হচ্ছে ভলিউম বাটন। তার পাশে থাকছে পাওয়ার বাটন। সবশেষে যে বাটনটি রয়েছে সেটি হল ভলিউম ডাউন বাটন। এখানে থাকছে ভলিউম আপ-ডাউন বাটন দিয় গান চেঞ্জ করার সুবিধা। স্পিকারটির ঠিক ডানে থাকছে মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট। এই মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট দিয়েই ব্লুটুথ স্পিকারটি চার্জ দিতে হবে। মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট এর পাশে থাকবে টি এফ পোর্ট।এই টি এফ পোর্ট টি দিয়ে মেমোরি কার্ড স্পিকার টির ভিতরে প্রবেশ করানো যাবে।
এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগবে যে এই ব্লুটুথ স্পিকারটির মূল্য কিরকম হবে? আপনারা যারা ১০০০ টাকা আশেপাশে একটা খুবই কাজের জিনিস কিনতে চান তবে তাদের জন্য এই স্পিকারটি হবে একদম উপযুক্ত। এই ব্লুটুথ স্পিকার মূল্য হচ্ছে মাত্র ৯০০ টাকা। এটিকে একসঙ্গে রেডিও কিংবা ঘড়ির মতো আরও অনেক কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।