আজকাল অনেক মানুষেরই পেটের অতিরিক্ত মেদ নিয়ে খুবই বিরক্ত আসলেই এটা বিরক্তকর একটি সমস্যা অতিরিক্ত ভুড়ি থাকলে হাঁটাচলায় কষ্ট হয় বসে থাকতেও বিরক্ত বোধ হয় শুয়ে থাকত বোর হয়ে যায়। এবং সহজেই চলাফেরা করতে পারে না কোন কাজ করতে গেলে হাপিয়ে যায় জোরে জোরে হাঁটাহাঁটি করলে সহজে ক্লান্ত হয়ে যায় এবং চাইলেই সব সময় সব ধরণের কাজও করতে পারে না আসলে এটা একটা সমস্যা আর এই বিরক্তকর সমস্যা থেকে মুক্তি যায়।
এটাও সম্ভব যেমন সমস্যা কোন থাকলেও তার সমাধানও থাকে পেটের মেদ চর্বিযুক্ত খাবার এবং অতিরিক্ত ক্যালরি যুক্ত খাবার ও পেটের মেদ বাড়িয়ে দেয় অনেকেই মনে করে যে আমার ভুরি এতটাই আসলেই এটা কি কমানো সম্ভব হ্যাঁ সম্ভব আপনি পারেন আপনার পেটের মেদ কমাতে।
এবং সুস্থ রোগমুক্ত জীবন যাপন করতে আর আপনার এই ভুল ধারণা কে দূর করে মনে সব সময় ভালো চিন্তা করুন যে হ্যাঁ আমি পারবো আমার পেটের মেদ ঝরাতে এবং আপনার পেটের মেদ ঝরাতে আপনি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পাঠ করলে আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।
এবং আপনাদের ভুড়ি কমাতে সাহায্য করবে আমরা যদি পারি আপনাদের একটু উপকার করতে তাহলে আমাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে কারন মানুষ তো মানুষের জন্য আমরা সবসময় আপনাদের পাশে থাকবো আসুন জেনে নেই যে কিভাবে পেটের ভুড়ি অতি সহজে কমানো সম্ভব।
অবশ্যই একজন মানুষের সতর্ক থাকা উচিত যখন পেটের মেদ অতিরিক্ত মাত্রা বেড়ে যায় তখনই তা নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত প্রথমে আসুন আমাদের খাদ্য অভ্যাসগুলো পরিত্যাগ করি। এবং যে খাবারে আমাদের ভুড়ি কমাতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে এ ধরনের খাবার খাওয়ার বেশি বেশি চেষ্টা করি যে খাবার খেলে মানুষের ভুঁড়ি বাড়িয়ে তোলে সে খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।
এবং অতিরিক্ত মাত্রায় বলে শরীর বেড়ে গেলে বিভিন্ন রোগ হওয়ার আসংখ্যা বহুগুণে বেড়ে যায় একজন সুস্থ এবং স্বাভাবিক রোগমুক্ত জীবন যাপন করতে হলে অবশ্যই তাকে শাস্ত বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে কোন সময় শরীর নিয়ে হেলাফেলা করা যাবে।
অবশ্যই আপনাকে আপনার শরীরের যত্ন আপনাকেই করতে হবে আর শরীর ভালো না থাকলে মন মেজাজ কিছুই ভালো থাকে না একজন মানুষের সার্থকভাবে বাঁচা হল রোগমুক্ত জীবন যাপন করা রোগ মানুষের চির শত্রু একবার কোন রোগ দেহে বাসা বাধলে ওই রোগ নির্মূল করা কষ্টদায়ক।
অনেক সময় তো ওই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া অসম্ভব তাই অবশ্যই এরকমের কোন ঘটনা হওয়ার আগেই নিজের কে সতর্ক করে ফেলুন এবং নিজের স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন হোন। আসুন জেনে নেয়া যাক যে খাবার আমাদের ভুড়ি কমাতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করবে নিম্নে সে বিষয়ে উল্লেখ করা হলো।
পেটের ভেতর কমানো খাবার
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
ফাইবার এবং আঁশ জাতীয় যে খাবারে ফাইবার পাওয়া যায় এমন সবুজ শাকসবজি সবজিতে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফাইবার যা থাকার কারণে আপনাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। এছাড়াও পেটের ভুরি কমাতে বেশ কার্যকরী ফাইবার যুক্ত খাবার গুলো হলো যেমন কচু শাক, পালং শাক ,পুঁই শাক ,লালশাক ,পুদিনা পাতা, মিষ্টি আলুর শাক, মুলা শাক ,ডাটা শাক, লাউ শাক ,কলমিঝ শাক, কুমড়া শাক, ইত্যাদি।
আঁশযুক্ত খাবার
আঁশ জাতীয় খাবার পেটের মেদ কমাতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে যে খাবার ভেতরে আঁশ পাওয়া যায় তা হলো যেমন কলার মোচা, সাজনা ,ঢেঁড়স ,গাজর ,ফুলকপি , মটরশুটি, কচু, সিম, বরবটি ,পটল ,বেগুন ,লাউ, শশা, ইত্যাদি।
আঁশজাতীয় ফল
আঁশ জাতীয় ফল বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন যে ফলের ভেতরে প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে এখন আমরা জেনে নেই আসুন জেনে নেয়া যাক যে খাবারে অতিরিক্ত মাত্রায় আঁশ পাওয়া যায়। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো এবং দামেও সস্তা এবংসব সময়ে পাওয়া যায় এছাড়াও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। জেনে নেয়া যাক যে খাবারগুলো ফলের ভেতরে আঁশ রয়েছে।
যেমন নারিকেল ,পেয়ারা ,কদবেল, আমড়া ,কদবেল ,কামরাঙ্গা ,কাঠাল ,পাকা ,টমেটো ,শশা ,আমলকি ,আপেল ,কমলা ,মাল্টা ,ভুট্টা ,ডুমুর ,কাজুবাদাম, চিনা বাদাম ,কিসমিস, গম,নাশপতি, এছাড়াও ছোলার ডালে পাওয়া যায়। প্রচুর পরিমাণে আঁশ যা খাওয়া খুবই উপকারী ফাইবার আসলে আমাদের দেহে কতটা উপকারী এটা আসলে না খেলে বোঝা যাবে না এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না বললেই চলে ।
আর আমাদের দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় একজন মহিলার কমপক্ষে দৈনিক 25 গ্রামের মতো ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর একজন পুরুষের ও নিয়মিত ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া খুবই জরুরি একজন পুরুষের কমপক্ষে দৈনিক 38 গ্রামের মতো খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। ফাইবার যুক্ত খাবার খান কারণ ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ওষুধের মতোই কাজ করে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে ।
তাই অবশ্যই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ফাইবারযুক্ত খাবার রাখুন স্বাস্থ্যর জন্য যেমন খুবই ভালো তেমনি ভাবে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এছাড়াও পেটের মেদ কমাতে তো ভীষণ সাহায্য করে। অতিরিক্ত পেটের ভুড়ি কমাতে ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন কারণ আপনাদের ভুড়ি কমাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই আমি আবারো বলছি যে নিয়মিত খাদ্যতালিকা অবশ্যই ফাইবার যুক্ত খাবার রাখুন এটা আপনাকে ভুড়ি কমাতে সহায়তা করবে।
গ্রিন-টি
গ্রিন-টি আমাদের পেটের ভুড়ি কমাতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে তাই অবশ্যই নিয়মিত গ্রীন টি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে কারণ গ্রিন-টি পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের পেটের মেদ কমাতেও খুবই কার্যকরী।
এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য তাই দুধ এবং চিনি অতিরিক্ত মাত্রায় চায়ের সাথে না খেয়ে নিয়মিত প্রতিদিন তিন থেকে চার কাপ এর মত গ্রিন টি পান করুন এটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো এবং পেটের মেদ কমাতেও খুবই উপকারী।
খাবার বেশি খাওয়া
ঝাল খাবার বেশি খেলে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে এটা আসলে অনেকে বিশ্বাস করতে পারে না এবং খুবই আশ্চর্য একটি কথা কিন্তু না এটা বিশ্বাস করতে হবে ।
কিন্তু যে মসলা দিয়ে খাবার খেতে হবে গোল মরিচ ,দারচিনি ,আদা ,কাঁচা মরিচ, যুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে এ ধরনের মসলাযুক্ত খাবার আপনাদের পেটের অতিরিক্ত ভুড়ি কমাতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করবে।
লেবুর রস
নিয়মিত সকালে কুসুম কুসুম হালকা গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে হবে লেবুর রস এবং কুসুম গরম পানি পেটের ভুড়ি কমাতে সাহায্য করে তাই অবশ্যই প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন এটা আপনার পেটের ভুড়ি কমাতে সাহায্য করবে
বাদাম
বাদাম পেটের মেদ কমাতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে বাদামে রয়েছে আসে এবং উচ্চমাত্রার প্রোটিন যা অনেকক্ষণ ধরে পেট ভরিয়ে রাখে এবং পেটের ওজন কমাতেও সাহায্য করে তাই নিয়মিত খেতে পারেন বাদাম বাদাম ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী।
খেজুর
খেজুর পেটের ভুড়ি কমাতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে কারণ খেজুরের ভেতরে পাওয়া যায় ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম ,ক্যালসিয়াম ,ফসফরাস ,প্রোটিন, ভিটামিন সি, ,,ভিটামিন বি৩ ,বভিটামিন বি২ ,ভিটামিন এ১, এ ,ধরনের উপাদান থাকার কারণে।
খেজুর পেটের ওজন কমাতে সাহায্য করে এছাড়া বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে তাই খেজুর অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখতে সহায়তা করে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করুন খেজুর আপনার পেটের ভুড়ি কমাতে খুবই কার্যকরী।
পেঁপে খান
পেঁপে আপনার পেটের চর্বি কমাতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে এতে পাওয়া যায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন ,ভিটামিন-সি ,ক্যালোরি এছাড়াও আরো পাওয়া যায় ভিটামিন কে ,ভিটামিন এ প্রোটিন ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম ফসফরাস ক্যালসিয়াম ফাইবার আঁশ ইত্যাদি।
এ ধরনের উপাদান থাকার কারণে আপনার পেটের মেদ সহজেই জোরে যাবে তাই নিয়মিত অবশ্যই পেঁপে খান পেঁপে পেটের ভুড়ি কমাতে সাহায্য করবে।
ফাস্টফুড জাতীয় খাবার
যে খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে হবে অতিরিক্ত মেদ বাড়াতে সাহায্য করে বিভিন্ন খাবার রয়েছে যে পিরজা বার্গার চিকেন রোল কাবাব চিকেন বিরিয়ানি ইত্যাদি।
এ ধরনের খাবার পরিহার করতে হবে যে খাবারে পেটের ভুঁড়ি বেড়ে যায় এবং এ ধরনের খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক নয় ভুড়ি বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয় শরীরে তাই বাহিরের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
ভালোভাবে চিবিয়ে খান
আরেকটি বিষয় হলো যে বিষয়টি না বললেই নয় যেকোনো খাবার খাবার সময় আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে ভালোভাবে চিবিয়ে না খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
এছাড়াও গ্যাস্ট্রিক এবং অন্যান্য সমস্যা হয় তাই অবশ্যই যেকোনো খাবার খাওয়ার সময় খুবই ভালভাবে চিবিয়ে খেতে হবে যার ফলে সহজেই হজম হয়ে যাবে এবং পেটে কোন গ্যাস জমতে দিবে না।
লবণ কে না বলুন
যতটা সম্ভব ততটা লবণের কাছ থেকে দূরে সরে থাকতে হবে লবণ পেটের মেদ কে বাড়িয়ে তোলে তাই লবণ খাওয়া আজি পরিহার করুন।
চিনি এড়িয়ে চলুন
চিনি অনেকেই খেতে খুবই পছন্দ করে মিষ্টি জাতীয় খাবার মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে সুস্বাদু হলেও এটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর অতিরিক্ত মাত্রায় মিষ্টি খাওয়া একদম ঠিক নয় এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধতে পারে আপনার দেহে।
অতিরিক্ত মাত্রায় মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে চিনি পেটের মেদ বাড়াতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। তাই চিনিযুক্ত খাবার আজি বাদ দিন অতিরিক্ত চা এ চিনি খাবেন না এটা ঠিক নয় তার থেকে আপনি পারেন করতে পারেন গ্রিন টি এটা আপনার পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে
বাহিরের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার
অনেকেই বিকালে অথবা সন্ধ্যায় বিভিন্ন রকমের বাহিরের খাবার খেয়ে থাকে যে রকমের চিফ আইসক্রিম এ ধরনের বাহিরের খাবার পরিহার করুন এটা স্বাস্থ্যের জন্য একদম ঠিক নয়।
নেশা জাতীয় খাবার
আজকাল অনেকেই নেশায় আসক্ত হয়ে মদ পান করে অথবা বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করে এধরনের অভ্যাস থাকলে বাদ দিন এটা আপনার দেহের জন্য এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর মাদকসেবন হতে পারে মৃত্যুর কারণ তাই এধরনের অভ্যাস থাকলে সেটি পরিহার করুন
অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার
অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার পরিহার করুন আপনার চর্বি বাড়াতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে যে কোন সবজি সেদ্ধ করে খাওয়ার অভ্যাস করুন গরুর মাংস এবং অতিরিক্ত মাত্রায় বেশি তেল দিয়ে মাছ রান্না খাবার পরিহার করুন।
রোজা রাখুন
রোজা আপনার পেটের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করবে সপ্তাহে একটি দুটি রোজা রাখার চেষ্টা করুন রোজার ভিতর আল্লাহর রহমত পাওয়া যায় রোজা রাখলে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং সহজেই কোন রোগ বাসা বাঁধতে পারে না ।
রোজা রাখলে আল্লাহ খুশি হয় যার ফলে আপনার দেহ থেকে রোগ সহজেই বিনাশ হয়ে যায় রোজা হলে শরীরে চাকা তাই সপ্তাহে রাখতে পারে একটি দুটি রোজা যার ফলে আপনার পেটের মেদ কমে যাবে এবং সব হবে সুতরাং সবথেকে উত্তম কাজ হল রোজা রাখা
ভাজা খাবার পরিহার করুন
অনেকেই ভাজা খাবার খাওয়া খুবই পছন্দ করে এটা আসলে লোভনীয় এবং খেতেও সুস্বাদু খুবই মজাদার কিন্তু মজাদার হলেই সব খাবার খাওয়া যাবেনা আগে নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নিতে হবে তারপরে খাবার খেতে হবে যে খাবার খেলে বিভিন্ন রোগ হতে পারে।
এবং বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে এ ধরনের খাবার না খেয়ে নিজেকে কন্ট্রোলে রেখে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করা যাবে তাই একজন মানুষের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তার সুস্থভাবে জীবনযাপন করা ভাজা খাবার পেটের মেদ বাড়াতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন… টমেটোর স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং এর অসাধারণ পুষ্টিগুণ
অনেকেই তাজা খাবার খান ভাজা খাবার না খেয়ে সেদ্ধ করে শাকসবজি খান এবং অল্প তেলে দিয়ে রান্না খান এ ধরনের খাবার খান আজ এই ভাজা খাবার পরিহার করুন কারন বাজার খাবার আপনার শরীরের চর্বি ভীষণভাবে বাড়িয়ে তুলে ।
এছাড়াও বাজা খাবার আপনার শরীরের নানান রোগের সৃষ্টি করতে পারে যে রকম গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হজমের সমস্যা নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে তাই এ ধরনের খাবার খাওয়া যাবেনা।
পানি
পৃথিবীর সব লোকেই জানে যে পানির অপর নাম জীবন পানি আমাদের পেটের চর্বি কমাতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। আপনি কি জানেন যে পানি আপনার শরীরের বিপাক কিরীয়া বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। যার ফলে সহজেই পেটের মেদ কমাতে সহায়তা করে।তাই অবশ্যই আপনার আমার সকলের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে প্রতিদিন কমপক্ষে ছয় থেকে সাত লিটার এর মত পানি পান করতে হবে।
শুধু আমাদের পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে না এছাড়াও বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে যেমন পানি আপনাদের কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে এছাড়াও জনডিস গ্যাসটিক এবং বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে তাই অবশ্যই নিয়মিত পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন
সঠিক নিয়মে ঘুম
আমরা অনেকেই এই কথা মনে করি যে ঘুমালে আমাদের পেটের চর্বি বের যায় কিন্তু এই ধারণা আমাদের একেবারে ভুল ধারণা কারন ভালো ভাবে ঘুম না হলে আমাদের খিদে ভেরে যায় যার ফলে খাবার খাওয়া বেশি পরে যেহেতু ফলে পেটের মেদ বের যায় সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে ঘুমিয়ে পড়তে হবে। একে বারে রাত জাগা যাবে না তাই দিনের বেলায় না ঘুমিয়ে রাতে ঘুমানের চেষ্টা করুন প্রতিদিন কমপক্ষে এক জন মানুষের ৭ থেকে৮ ঘন্টা মতো ঘুমানো খুবই জরুরি কম ঘুম হল মন মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় ।
এছাড়া ও রাত জাগার ফলে চেহারা খারাপ হয়ে যায় তক্কে ব্রন সমস্যা দেখা দেয় চেখের নিচে কালো দাগ পরে এছাড়াও হতে বিভিন্ন রোগের কারণ তাই আমাদের সবার উচিত অতিরিক্ত রাত না জেগে দশটা থেকে এগারটা ভিতরে ঘুমিয়ে পরা।
তাহলে আমাদের শরীর সুস্থ থাটবে এবং তার পাশাপাশি মন মেজাজ খিটখিটে থাকবে না মস্তিস্ক থাকবে ঠান্ডা এবং যে কোনো ধরনের মানসিক চাপ থেকে দূরে সরে থাকতে পারা যায় তার ফলে মস্তিষ্কের কোন ধরনের চাপ পারে না তাই সবার ঘুমানো উচিত
ব্যায়াম
আমরা এতক্ষণ পেটের মেদ কমানোর খাবার এর সম্পর্কে জানলাম এখন আমি আপনাদের জানাবো যে খাবারের পাশাপাশি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল যেটি ব্যায়াম ব্যায়াম দ্বারা পেটের ভুড়ি কমানো সম্ভব ।
আর এই ব্যায়াম আপনাকে ভীষণ ভাবে সাহায্য করবে আপনার পেটের মেদ কমাতে অনেকেই মেদ ভুঁড়ি নিয়ে চিন্তিত কিন্তু চিন্তায় না থেকে অতি সহজে পেটের মেদ কমিয়ে ফেলতে পারে পেটের ভুড়ি অনেকেই মনে করে আমরা সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকি বিভিন্ন কাজে সাথে জড়িয়ে। যে মনকে ওই অফিসে থাকে কেউ অথবা ব্যবসা করে কেউ চাকরি করে বিভিন্ন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখে ব্যায়াম করার সময় খুজে বের করা দায় আপনি চাইলে কাজের ভিতর ও ব্যায়াম করতে পারেন যেমন ।
একজন মানুষ যদি 30 মিনিটের মতো বসে থাকে কিছুক্ষণ পর উঠে 15 থেকে 20 মিনিট আবার হাঁটাহাঁটি করলো ব্যায়াম অথবা অফিসে যাওয়ার সময় গাড়িতে না যে পায়ে হেঁটে যেতে পারে এটাও এক ধরনের ব্যায়াম এর পরে অবসর সময় বসে না থেকে টিভি না দেখে খেলাধুলা করা। নাচ-গান করা যেমন ফুটবল খেলা ব্যাডমিন্টন খেলা ক্রিকেট খেলা এটা শরীরের এক ধরনের ব্যায়াম আপনি চাইলে বাসায় বসে আপনার পেটের অতিরিক্ত ভুড়ি কমাতে পারবেন লিফট ব্যবহার না করে আপনি যদি সিঁড়ি ব্যবহার করেন।
তাহলে আপনার শরীর থেকে জরে জাবে অতিরিক্ত মেদ নিজেকে পরিশ্রমের কাজ করুন বাসার কাজ গুলো নিজে নিজে করার চেষ্টা করুন আমরা অনেক সময় বাসার কাজ নিজেরা করতে চাইনা যার ফলে পেটের মেদ অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যায়। আমরা চাইলে আমাদের নিজের বাসার কাজগুলো কিন্তু আমরা নিজেরাই করতে পারি যে রকম রান্না বান্না করা থালা বাসন মাজা ঘর পরিষ্কার করা ঘর মুসা কাপড়চোপড় ধোয়া গাড়ি দোয়া এ ধরনের কাজ আমরা বাসায় বসে থেকে করতে পারি দড়ি লাফ দেওয়া ইত্যাদি
পেটের মেদ কমাতে আপনি বাসায় বসে ব্যায়াম গুলো করতে পারেন
১/সিট আপ
২/প্লাংক
৩/রাশিয়ান এবস টুইস্ট
৪/ক্রাঞ্চেস
৫/লেগ রেইস
পেটের ব্যায়াম করতে হলে প্রথমে আপনাদের যা করতে হবে প্রথমে আস্তে আস্তে এক মিনিটের মতো হাঁটতে হবে এরপরে আপনাদের গতিবেগ বাড়িয়ে 30 সেকেন্ডের মত জোরে হাঁটতে হবে এরপরে আবার আপনাদের এক মিনিটের আস্তে আস্তে হাঁটার চেষ্টা করতে হবে ।
আরো পড়ুন… 7 দিনে 5 কেজি ওজন কমানোর সহজ উপায়
তারপরে আবারো 30 সেকেন্ডের মত জোরে জোরে হাঁটতে শুরু করতে হবে ঠিক এইভাবে 5 থেকে 10 মিনিটের মত জগিং করতে হবে এরপর আপনি চাইলে দৌড়াতে পারেন অথবা ব্যায়াম শুরু করতে পারেন তবে ব্যায়ামের শুরুর আগে জগিং করলে বেশ ভালো হয়
চেয়ার ব্যয়াম
এছাড়া আরো পড়তে পারেন চেয়ার ব্যায়াম চেয়ার ব্যায়ামের উপকারিতা অপরিসীম শেয়ার ব্যায়াম আপনার পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করবে এখন আমরা জেনে নেই যে চেয়ার ব্যায়াম করার নিয়ম আসলে কি ।
চেয়ার ব্যায়াম করতে হলে প্রথমে আপনাদের যা করতে হবে এখন আমরা তা জানিয়ে দিবো আসুন আমরা জেনে নেই যে কিভাবে চেহার ব্যায়াম করতে হবে। চেয়ার ব্যয়াম প্রথমে আমাদের যা করতে হবে শ্বাস নিতে হবে এবং হাঁটু বাঁকা করতে হবে এমন ভাবে বসতে হবে যাতে করে বুঝা যায় আপনি চেহারার উপরে বসে আছেন এরপরে আমাদের হাতের আঙ্গুলগুলো খোলা অবস্থায় সোজা রাখতে হবে এরপর সামনের দিকে মেলে ধরতে হবে ।
আমাদের উঁড়ুকে রাখতে হবে মেঝের সমান্তরালে এরপরে হাত দুটিকে কান পর্যন্ত উঠাতে হবে। এরপর আমাদের বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে যে আমাদের সমস্ত ওজন যেন গোড়ালিতে পড়ে সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। এরপরে শ্বাস নিতে নিতে উঠে দাঁড়াতে হবে এবং আপনাদের দুই হাত দেহের পাশে নিয়ে আসতে হবে এরপর আবারও আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়তে হবে।